আমার ভাবনায় মুকসুদপুর সংবাদ এবং সম্পাদক হায়দার হোসেন

আমার ভাবনায় মুকসুদপুর সংবাদ এবং সম্পাদক হায়দার হোসেন

এমডি কামাল হোসেন

সেই ১৯৯৯ সাল থেকে মুকসুদপুর সংবাদ প্রকাশিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে অব্যাহত গতিতে একটি থানা মফস্বলে সংবাদপত্র প্রকাশ খুব কমই দেখা যায়। মুকসুদপুর সংবাদ দিনে দিনে তার সংবাদের সততা, জটিল সংবাদের চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশে আমার ভাবনায় সেরা বলে মনে হয়। মুকসুদপুর সংবাদের সম্পাদক হায়দার হোসেনের চিন্তা চেতনায় পত্রিকাটি মফস্বলের সেরা সংবাদপত্র হিসেবে মাথা ঊঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। মুকসুদপুর সংবাদ প্রকাশের শুরুতে আমি ছাত্র ছিলাম। সেই সময় থেকে আমার মনে তীব্র বাসনা ছিল যদি আমার একটা লেখা প্রকাশ করতে পারতাম! ২০০০ সালের কথা। সত্যিই একদিন আমাদের এলাকায় একটি মেয়ের সাপের কামড়ে মারা গেলে আমি একটি শোক সংবাদ লিখে তখনকার মুকসুদপুর সংবাদ এর কম্পিউটার অপারেটর আবদুল খালেক ভাইয়ের হাতে দিয়ে আসি;  আর মনে মনে অপেক্ষা করি পত্রিকাটি প্রকাশনের ক্ষণ পর্যন্ত। কাক্সিক্ষত সময়ে ঠিকই আমার লেখা শোক সংবাদটি ছাপা হয়। সংবাদপত্রে বিশেষ করে মুকসুদপুর সংবাদে আমার লেখা সংবাদ প্রকাশিত!  সে কি আনন্দ!  মুকসুদপুর সংবাদ ১০ কপি এনে বন্ধুদের হাতে দিয়ে গর্ব করে বলি ‘দেখ আমার লেখা মুকসুদপুর সংবাদে ছাপা হয়েছে”!  বিকেলবেলা আমাদের খেলার মাঠে নিয়ে সকলকে দেখাই আর নিজে নিজে গর্ববোধ করি মুকসুদপুর সংবাদে লেখা ছাপা হওয়ার আনন্দ।

লেখা ছাপা হওয়ার আনন্দে যখন মুকসুদপুর সংবাদের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়, ঠিক তখনই সম্পাদককে দেখার জন্য মন আমার উতলা হয়ে ওঠে।  আমার ছাত্রবস্থায় তখনকার মুকসুদপুর সংবাদের অফিস কাজী প্লাজায়।  বারবার ঘুরে ও সম্পাদকের দেখা পাই না। একদিকে বয়সে তরুণ, থানা এলাকায় ব্যস্ত সম্পাদক, অন্য দিকে তিনি নানান সামাজিক কর্মকা-ের সাথে জড়িত। তার সাথে দেখা করা মুশকিল হয়ে পড়ে। এর মধ্যে আমারও চাকরি হলে ঢাকা চলে যাই। আমিও দু-একদিনের জন্য বাড়ি আসি আবার ঢাকা চলে যাই চাকরিতে। বেশ কয় মাস পরে মুকসুদপুর চাঁদহাট রাস্তা দিয়ে ভ্যানে যাচ্ছি হঠাৎ  কমলাপুরের মৌলভী মাঠ সোজা আমার ভ্যানওলার ভ্যানের চেইন পড়ে যায়। বামে চেয়ে দেখি একটি লোক মোবাইলে কথা বলতেছে মোটরসাইকেলের উপর বসে। মোবাইল রিসিভ করে বলল ‘ আমি হায়দার’।  নামটি শোনা মাত্র আমি চমকে উঠি এবং আমূল শিহরিত হই। তখনকার ২০০০ সালে গ্রামে মোবাইল ব্যবহার খুবই কম ছিল অথচ আমার প্রিয় ভালোবাসার সে যুগের সর্বাধুনিক হায়দার হোসেনের হাতে মোবাইল দেখে আমি আনন্দে আত্মহারা হই। সত্যিই তুমি হায়দার হোসেন ! যুগে যুগে সেরা হয়েই থাকবে। এমডি কামাল হোসেন, পুলিশ বিভাগে চাকুরিরত, মুকসুদপুর সংবাদের পাঠক।