উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সহিংসতামুক্ত - অবাধ নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠিত হোক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সহিংসতামুক্ত - অবাধ নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠিত হোক

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২১ মে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যাশা করি নির্বাচন যথাযথ নিয়ম কানুন মেনে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

মুকসুদপুর উপজেলাজুড়ে ১৬ ইউনিয়ন ও মুকসুদপুর পৌরসভা মোট ২ লাখ ৬০ হাজার ৫শ ৪২জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। মোট তিনটি পদÑ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থী এবং মহিলা (সংরক্ষিত) ভাইস চেয়ারমান পদে ৩জন প্রার্থী প্রত্যক্ষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সকল প্রার্থী এলাকায় সুপরিচিত। মনোনয়ন পত্র জমা-বাছাই-প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষে প্রতীক বরাদ্দের পরেই নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা জমজমাট চলছে। সরকার-নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সিদ্ধান্ত মতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় দলীয় প্রতীক বরাদ্দ থাকছে না। যে কেউ ইচ্ছুক নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারছেন।

 দেশজুড়ে কয়েক ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু নির্বাচন এলাকায় অনিয়মের ঘটনা বিছিন্নভাবে ঘটেছে। স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক, এ কারণে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সাধারণ জনগণের সংশ্লিষ্টতায় ব্যাপক আগ্রহেরও। তবুও নানা কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় ভোটারের অনাগ্রহের বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করি ভোটের পরিবেশ ভাল থাকলে কাক্সিক্ষত মাত্রায় মুকসুদপুরের সচেতন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। দলীয় মনোনয়ন প্রতীক বরাদ্দ না থাকলেও ক্ষমতার প্রভাব বলয়, বৈধ-অবৈধ অর্থের ব্যবহার, স্থানীয় রাজনৈতিক-সামাজিক প্রভাব প্রতিপত্তি-আধিপত্যর কারণে নির্বাচন সংঘাতপূর্ণ পরিবেশের আশঙ্কা হয়ে ওঠে। তবে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন সহায়তাকারী প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর পক্ষে রিটার্নিং অফিসার ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয় ইতোমধ্যে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলে প্রস্তুত রয়েছেন।

রাজনৈতিক সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে বিগত দিনের অনেক কার্যক্রমে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত দৃঢ় ভূমিকায় বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত সাহসী ভূমিকায় নির্বাচন কার্যক্রম প্রশ্নঊর্ধ রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। কোন রকম অনিয়ম অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হলে দ্রুত ও গ্রহণযোগ্য কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কমিশনের হৃত গৌরব পুনরোদ্ধারে সচেষ্ট থাকায় তাদেরকে আমাদের আন্তরিক সাধুবাদ।

রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের মাধ্যমে ভোটকাটা-ব্যালট ছিনতাই, জালভোট অর্থের প্রভাব ইত্যাকার অনিয়ম সহিংসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব জনগণ ও সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সৎ উদ্যোগে। রাজনৈতিক বিরোধীতার কারণে দেশে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে উদ্ভাবিত বহুল প্রত্যাশিত ইলেক্টনিক ভোটিং মেশিন শতভাগ ব্যবহার কার্যক্রম অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়েছে, যা কাক্সিক্ষত এবং কল্যাণকর নয়।

আমরা আশাবাদী মুকসুদপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সমর্থক ভোটার সকলে নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলবেন। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্নকভাবে কঠোর ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে এমনটা প্রত্যাশা সবার।