কাবির মিয়া ফের চেয়ারম্যান
মেহের মামুন: দ্বিতীয় দফায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মুকসুদপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫৪ হাজার ৫শ’ ৫৪ ভোট পেয়ে কাবির মিয়া ফের উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এনিয়ে তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। উপজেলা নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এমএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ মুক্তু মুন্সী মটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৮শ ১১ ভোট এবং আবুল কাসেম রাজ দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫শ ৪২ ভোট। অপর প্রার্থী কাইমুজ্জামান রানা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১শ ১৫ ভোট।
২১ মে মঙ্গলবার গভীর রাতে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক সার্বিক ও উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার গোলাম কিবরিয়া ফলাফল ঘোষণায় কাবির মিয়াকে বেসরকারীভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। মো: কাবির মিয়ার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এমএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ মুক্ত মুন্সী (মোটর সাইকেল প্রতীক) ৪২ হাজার ৮’শ ১১ ভোট পেয়েছেন। কাবির মিয়া ১১ হাজার ৭’শ ৪৩ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হন। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার ৯৬ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৬১টি ভোট কেন্দ্রে সর্বাধিক ভোট পেয়েছেন। তার এই বিপুল বিজয়ে তার সমর্থকদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। তারা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মিষ্টি বিতরণ করে নির্বাচন পরবর্তী কয়েকদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘোড়া ও গাড়িবহর নিয়ে আনন্দ উল্লাস করেছে।
পৌরসভাসহ ১৬ ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট পৌরসভা-৬০৯৯, পশারগাতী-৩১১২, গোবিন্দপুর-৩৯৫২, খান্দারপাড়-১১৩৮, বহুগ্রাম-১৬৪১, বাঁশবাড়িয়া-১৯২৯, ভাবড়াশুর-২৪৪৪, মহারাজপুর-৪১৩৪, বাটিকামারী-৪১২২, দিগনগর-৪৭০৮, রাঘদী-১৪৭৯, গোহালা-৩৯১২, মোচনা-৩৬১৯, উজানী-২৪৭২, কাশালিয়া-৩০৪৪, ননীক্ষীর-৩২৩৭, জলিরপাড়-৪২৩২। নির্বাচিত হওয়ার পরে কাবির মিয়া জানান, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ হয়েছে এবং জনগণ নিরাপদে ভোট দিতে পেরেছেন। এজন্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে প্রসাশনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে মুকসুদপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালবাসা রইল। কারণ তারা যদি আমাকে ভোট না দিত তাহলে আমি দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারতাম না। গত ৫ বছরের আমি মুকসুদপুরবাসীর জন্য অনেক কিছু করেছি। কিছু কিছু কাজ বাকী রয়েছে। ইনশাআল্লাহ এই ৫ বছরে আমি সকল বাকী কাজ শেষ করবো। সকল ভোটারের প্রতি আমার বিনীত কৃতজ্ঞতা। আমি তাদের ভালবাসার মর্যাদা রক্ষা করতে সচেষ্ট থাকব। তিনি আরও জানান, আমি নির্বাচিত হওয়ার পরে ২৫ মে শনিবার সকালে মুকসুদপুর উপজেলা হাজার লোকের গাড়ি বহর নিয়ে টুঙ্গীপাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করে, পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করে এসেছি।



Admin
