নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান
গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী) এলাকায় ১ পৌরসভা ২৩ ইউনিয়নে মোট ভোটকেন্দ্র ১৩৮টি। মোট ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫শ ৯০ ভোটার রয়েছেন। দু’উপজেলার নেতা কর্মীদের দাবি এবারও অতীতের ইতিহাসের সাথে মিল রেখে ভোট প্রাপ্তিতে নতুন ইতিহাস গড়বেন তারা। সেই লক্ষ্যেই দিনরাত এক করে দু’উপজেলার নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মুহাম্মদ ফারুক খান নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা উপজেলার পৌরসভাসহ সকল ইউনিয়নে কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচনী পরিচালনা কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য। এছাড়াও নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সেই ইশতেহার, পদ্মা সেতু, রেল, মুকসুদপুর-কাশিয়ানীর নানামুখী উন্নয়নের প্রচার করে ভোট প্রার্থণা করছেন তারা। গোপালগঞ্জ-১ আসন বরাবরই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি ও ভোট ব্যাংক হিসাবে পরিচিত। এ আসন থেকে বরাবরই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে আসছে। এখানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক মানেই নিশ্চিত জয়লাভ। কারণ এখানকার মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা ও ভরসার প্রতীক নৌকা। এছাড়াও মুকসুদপুর উপজেলার আস্থার প্রতীক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান। উপজেলার সর্বত্র বইছে নির্বাচনী উৎসব। তা দিনদিন হচ্ছে জমজমাট।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদুর রহমান জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ -১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান এর পক্ষে জোরালো প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে প্রতি ইউনিয়নে একজন সমন্বয়কারীর নেতৃত্বে দলীয় শতভাগ নেতাকর্মী সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়ন সমন্বয়কারী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করে প্রতিটি এলাকার নির্বাচনী কার্যক্রম সমন্বয় করছেন। এছাড়াও প্রার্থী হিসেবে জননেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এবং তাঁর কন্যা কানতারা খান প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে গণসংযোগ ও পথসভার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নৌকা প্রতীকের পক্ষে সমগ্র উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলে নোকা প্রতীকের প্রচারণা ক্রমান্বয়ে জোরালো থেকে জোরালোতর হচ্ছে। বিগত প্রায় ত্রিশ বছর মুহাম্মদ ফারুক খান এ এলাকার নেতা ও এমপি হিসেবে উন্নয়নের পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীল একটি উপজেলা উপহার দিয়েছেন। বিশেষকরে গত পনের বছরে মুকসুদপুরে যে উন্নয়ন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য সমগ্র দেশে ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিত মুখ মুহাম্মদ ফারুক খানকে গোপালগঞ্জ-১ আসনের জনগণ পূর্বের ন্যায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করবে তা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ইতোপূর্বে একাধিকবার নির্বাচন করেছি। আওয়ামী লীগের পক্ষে মাঠে ময়দানে নির্বাচনী প্রচারণা করেছি। আমি শুধুমাত্র নির্বাচনকে ঘিরে নয় সব সময় জনগণের পাশে আছি এবং থাকব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেন। আমি সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। আমার দায়িত্ব নির্বাচনী এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা। কতটা করতে পেরেছি সেটা দৃশ্যমান। উন্নয়ন যেহেতু চলমান সেটা চলতেই থাকবে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়নসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করছি। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে দোয়া এবং আর্শীবাদ ও ভোট নৌকা প্রতীকে পড়বে।



Admin
