শূন্য থেকে সিঁড়িতে ওঠা একজন খোকন

শূন্য থেকে সিঁড়িতে ওঠা একজন খোকন

হায়দার হোসেন: আসাদুজ্জামান খোকন। শূন্য থেকে সফলতার সিঁড়িতে উঠেছেন মাত্র। সামনে অনেক পথ। পাড়ি দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে খোকনের রয়েছে ঠিকাদারি, রড -সিমেন্ট, মোবাইল অপারেটরের এজেন্ট এবং ওয়ালটন, সিঙ্গার ইলেকট্রনিক পণ্য এবং টিভিএস মটরস এর ডিলার। নিজের পরিশ্রম এবং লোকজন খাটিয়ে চলমান আছেন খোকন। শুধু অর্থনৈতিক নয় সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত একজন লোক হিসেবে মুকসুদপুরে তার বেশ সুনাম আছে। তার শূন্য থেকে শুরু করার গল্প অনেকটা স্বাভাবিক নয়। বরং অস্বাভাবিকভাবেই নানান প্রতিকুলতার মধ্যে যুদ্ধ করেই তার বেড়ে উঠা। এই বেড়ে উঠার পরে নিজ দেশসহ ঘুরেছেন নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান, মালয়েশিয়া, দুবাই, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের কয়েকটি রাজ্য।

উপজেলার ভাবড়াশুর গ্রামের মুন্সী পাড়ায় শ্রমিক পরিবারে জš§ খোকনের। পিতা সারোয়ার মুন্সী সড়ক ও জনপথ বা সিএন্ডবি এর নিম্মস্তরের কর্মচারী ছিলেন। মাস্টার রোলের শ্রমিক থেকে পরে স্থায়ী হওয়ায় স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে নিয়ে যান খুলনায়। এর পরেই জš§ হয় খোকনের। ওই সময় তার নাম রাখেন আসাদুজ্জামান মুন্সী, ডাক নাম সবাই বলে খোকন। সারোয়ার ফিরোজা সংসারে খোকন, বেশ দুধেভাতেই চলতে থাকে তাদের ছোট্ট সংসার। খোকন তখন হাটতেও পারে না, গ্রাম্য ভাষায় ‘হামুর’ দিয়ে চলতে পারে, তার মানে বয়স এক থেকে দেড়, ওই সময়ে সারোয়ার আক্রান্ত হন জ্বর নামক ব্যধিতে। কয়েকদিনে স্থানীয় ডাক্তারের পাচনে রোগ নিরাময় না হওয়ায় অফিসের বড় কর্তার নির্দেশে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওখানে চিকিৎসার এক পর্যায়ে ধরা পড়ে সারোয়ার মুন্সী ক্যান্সারে আক্রান্ত। ফিরোজা বেগম তার বাড়ীর জমি-জমা বন্ধক এবং তার ভাই শাহিদুল শিকদারের কাছ থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকার মত খরচ করার পরেও সকল চেষ্টাকে ব্যর্থ করে পরপারে চলে সারোয়ার মুন্সী। এটা ১৯৭৭ সালের কথা। মা ফিরোজা বেগম শিশু খোকন নিয়ে পড়েন অকুল পাথারে।  নিজে কিভাবে বাঁচবেন, সন্তানকে কিভাবে বাঁচাবেন কোন কিছুই তার মাথায় ঢুকে না। কেউ কেউ খোকনের মাকে অন্যত্র বিয়ে করার পরামর্শও দেন। কিন্ত খোকনের মা খোকনকে নিয়ে অনড়। তাকে নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত লড়ে যাবে এমন সঙ্কল্প। এ ভাবে চলতে থাকে দিন। স্বামীর পৈত্রিক সাড়ে ৪ বিঘা জমি ছিল। বেঁচে থাকার তাগিদে ওই জমি থেকে কিছু কিছু বিক্রি করতে থাকেন।

কার জমি কি ভাবে বিক্রি হয়, কে কেনে কিছুই জানতেন না ফিরোজা বেগম। নিজের ও সন্তানের পেটের তাগিদে একবার নিজেদের বাড়ী একবার পার্শ্ববর্তী ভাইয়ের বাড়ীতে কাটাতেন ফিরোজা ও খোকন।

খোকনের বয়স যখন ৫ পড়ে, তখন বাড়ীর অন্যান্য শিশুদের সাথে পড়তে যায় খোকন। ভাবড়াশুর প্রাইমারিতে পড়ার পরে ১৯৮৬ সালের আশ্বিণ মাসের একটি ঝড়ে ভাবড়াশুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব দিঘা ধান নষ্ট হয়ে যায়। এর পর এক অভাব অনটনের কারণে চোঁখে অন্ধকার দেখতে পেলে খোকনের চাচাত ভাই মোহাম্মদ আলী এবং আজিজুল মা ফিরোজার কাছ থেকে খোকনকে নিয়ে যায় খুলনায়।

চুকে যায় খোকনের লেখাপড়া। দুই চাচাত ভাইয়ের বাড়ী থাকা খাওয়া চলে, চলে তাদের হাঁট বাজার। এক চাচাত ভাই আজিজুলের ছিল বিসমিল্লাহ ইলেকট্রিক দোকান, অপর চাচাত ভাই মোহাম্মদ আলী’র ছিল মটর গ্যারেজ ও ব্যাটারির দোকান।

প্রথম প্রথম বেশ কিছুদিন আমোদে আহ্লাদে কাটাতো শিশু খোকন। ৮৮ সালের বন্যায় সারা দেশের দুর্ভিক্ষ দেখা দিল খোকনের জীবনেও। দু পরিবারের ফয়-ফরমাস, এ বেলা সে বেলা করতে করতে এ দোকান সে গ্যারেজে দৌড়াতে দৌড়াতে খোকনের জীবন উষ্ঠাগত। তার পরিচয় হয় দু একদিন মোহাম্মদ আলীর হেবী ব্যাটারীর গ্যারেজে ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসা মিন্টু মল্লিকের সাথে।  সে খোঁজ করতে থাকেন অন্যকিছু। একদিন মিলেও যায়। ব্যবসায়ী মিন্টু মল্লিকের সাথে দেখা হয় রূপসা পারে। মনমরা দেখে মিন্টু মল্লিকের সাথে কথা বার্তা বলে পরের দিনই পেটে ভাতে কাজ নেয় মল্লিক এন্ড ব্রাদার্স এর হেবী ব্যাটারির কারখানার প্লেট তৈরী’র। খুলনার ডাকবাংলো রোড়ে ওই ব্যাটারির ফ্যাক্টরি। হেবী ব্যাটারির প্লেট এবং এসিডসহ কিছু রাসায়নিক প্লেট দিয়ে তৈরী হতো। সেই ব্যাটারি নানান সাইজ মত বিক্রি বা ভাড়া হতো। এটা ব্যবহৃত হতো মটর বাইক, মাইক্রোবাস, বাস ট্রাক, লঞ্চ এবং টেলিভিশন মালিকদের কাছে। হেবী ব্যাটারির বেশ জমজমাট ব্যবসা। শিশু খোকন ব্যাটারির প্লেট ও প্লাস্টিকের কেস দিয়ে তৈরী নতুন ব্যাটারি তৈরী এবং একটানা ২৪ ঘন্টা চার্জ দিলে ওই ব্যাটারি ব্যবহারের উপযোগী হয়। ওই ব্যাটারির ফ্যাক্টরিতে সব রকম কাজ শিখে নেন খোকন। নতুন ব্যাটারি চার্জের সময়ে কোন না কোন স্টাফের ফ্যাক্টরিতে থাকতে হয়।

এটা ১৯৯২ সালের ঘটনা। কাজ শেখা ও দক্ষতা অর্জনের জন্য কয়েক রাত ব্যাটারির ফ্যাক্টরিতে রাত কাটান ওই ফ্যাক্টরির হেলপার খোকন। দরজা জানালাহীন বদ্ধ ব্যাটারির ফ্যাক্টরিতে কয়েকটি রাত একসাথে কাটানোর জন্য ফুসফুস ও লাঞ্চ জটিলতায় অসুস্থ হন।  খুলনা থেকে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে আসে খোকন। আবার মা ফিরোজার সাথে থাকা। মা ফিরোজা তখনও জলে ভাসা কচুরির মতো কখনও খোকনের মামা বাড়ী, কখনও নিজেদের বাড়ী, কখনও খোকনের খালু বাড়ী টেংরাখোলা বাসায় থাকতেন। খোকন আসার পরে মা ফিরোজা আর খোকনকে খুলনা এলাকায় পাঠাতে চায় না।

১৯৯৩ সালের খোকনের খালু হাসমত মিয়ার পরামর্শে মুকসুদপুরের চৌরঙ্গিস্থ (বর্তমানে মনোয়ারা শপিং কমপ্লেক্স) দক্ষিণচন্ডিবরদী গ্রামের আনোয়ার সরদারের কাছ থেকে টিনের ঘর ভাড়া নেন। ভাড়া মাসিক ৩শ টাকা, অগ্রিম ১৫শ টাকা।

সবেমাত্র গোপালগঞ্জে উন্নয়নের ভোররাত শুরু হয়েছে। কিছু রাস্তা ঘাট তৈরী হচ্ছে। বিদ্যুত না থাকলেও হেবী ব্যাটারি দিয়ে সাদা কালো টিভি দেখা শুরু হয়েছে। মুকসুদপুরে প্রতি বছর কোথাও না কোথাও বিদ্যুত সংযোগ হচ্ছে। লোড সেডিং আছে। এই সময় আধুনিক বিনোদন ও খবরা খবরের জন্য টিভিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। সেই সময় খোকন ঘর ভাড়া নিয়ে চলে যান খুলনায়। চাচাত ভাই আজিজুল মুন্সী তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাটারি চার্জার মেশিন দেয়। ওটা নিয়ে একটা চেয়ার, একটা টেবিল নিয়ে খুলেন দোকান। বিদ্যুত বিভাগের এক কর্মীর সাইড লাইন (পার্শ্ব সংযোগ) নিয়ে শুরু হয় হেবী ব্যটারি চার্জ দেয়ার ব্যবসা। প্রতিটি ১২ ভোল্ট হেবী লিকুইড় এসিড ব্যাটারী চার্জ বাবদ নেন ৮ থেকে ১০ টাকা। তখন মুকসুদপুরে আরও ৪টি ব্যাটারি চার্জের দোকান ছিল। যেহেতু খোকনের দোকানে বিদ্যুত সংযোগ নেই সেহেতু অন্য ব্যবসায়িদের চাপে তার নতুন বিদ্যুত সংযোগ নিতে হলো। খোকন অন্যসব ব্যাটারির দোকান থেকে কমমুল্যে সার্ভিস দিত যে জন্য ওর খদ্দের দিন দিন বেড়ে গেল। চাহিদা বাড়লো নতুন ব্যাটারি তৈরীর। কিন্তু পুঁজি তো নাই। আর সে সময়ে এত এনজিও বা ব্যাংক ব্যবসায়ীর দুয়ারেও আসতো না। কিন্তু মনোবল আছে খোকনের। আবার যোগাযোগ খুলনায়। সেখানে গিয়ে আবুল হোসেনের ব্যাটারির কারখানায় গিয়ে পুরোটাই বাকীতে ব্যাটারির প্লেট ও প্লাস্টিকের কেস নিয়ে আসেন। আনেন পানি মিশ্রিত এ্যসিডও। গ্রাহকের চাহিদামত খোকন অতি কমমূল্যে তৈরী করে দিতেন ব্যাটারি। গ্যারান্টিও দিতেন। চলতে থাকে তার জমজমাট ব্যবসা। এর মধ্যে গোপীনাথপুর গ্রামে ৭ শতক জমি কিনে একটা ছোট ঘর করে ছেড়ে দেন ভাড়াবাড়ী।

পথের মানুষ খোকন এর নিজের বাড়ী হওয়ায় মা ফিরোজার আগ্রহে খালু হাসমত মিয়ার উদ্যোগে বাটিকামারি সারোয়ার মোল্যার মেয়ে রানী বেগমের সাথে বিয়ে হয় খোকনের। যথাসময়ে রানী- খোকনের পরিবারে জš§ নেয় প্রথম সন্তান রাতুল মুন্সী, সে বর্তমানে লেখাপড়ার পাশাপাশি পিতার ব্যবসার একটি অংশ দেখভাল করেন। এর পরে ২য় সন্তান রিথান মুন্সী বর্তমানে ঢাকার আইডিয়াল কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ছে। আর ছোট ছেলে রায়হান আহম্মেদ বর্তমানে ৫ম শ্রেণিতে পড়ছে।

এরই মধ্যে উন্নয়নের হাওয়া লাগতে শুরু করে মুকসুদপুরে। রাতারাতি বিদ্যুত সংযোগ লাগতে থাকে। গ্রামের পর গ্রাম আলোকিত হতে থাকলে চাহিদা কমে যায় চার্জদেয়া ব্যাটারির ব্যবসা। কমে যায় ব্যাটারি তৈরীর কাজও।

সময়োপযোগী ব্যবসার কথা চিন্তা করে এক শুভাকাক্সক্ষীর পরামর্শÑ ব্যাটারির ব্যবসা গুটিয়ে নিজের বাড়ীতে ডিম উৎপাদনের জন্য একটি মুরগীর ফার্ম তৈরী করেন। যেই ভাবনা সেই কাজ। গড়ে তোলেন সেড। মুরগীর খাঁচা তৈরী করে কিনে ফেলেন ৫শ লেয়ার মুরগীর বাচ্চা। খাদ্য ওষুধ এবং ৩৫ টাকা করে প্রতিটি ১দিনের মুরগীর বাচ্চা কিনে আবার নেমে পড়ের মুরগী পালনের জন্য। একদিন দু দিন করে ৬ মাস পেরুলেই মুরগীতে ডিম দেয়া শুরু করে। ওই  সময় পাইকারি দরে প্রতি হালি ডিম ১০ টাকা থেকে ১৬ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি করতে থাকেন। দিনে সর্বচ্চ ৪০৫টি ডিমও বিক্রি করেন খোকন। বেশ জমজমাট ব্যবসা। গড়ে তোলেন পাকা বাড়ী। শীত কাল আসার পরই জ্বর বা অজ্ঞাত কারণে মুরগীতে ডিম দেয়া কমিয়ে দেয়। পড়েন দুঃশ্চিন্তায়। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শে তিনি ডিম পাড়া মুরগী সব বিক্রি করে দেন। পালন শুরু করেন বয়লার জাতীয় মুরগীর। মাত্র ২ মাসে বিক্রি করে বেশ লাভ হতে থাকে। এভাবে চলে বছর মুরগীর উৎপাদন। কিন্তু বাড়ীর আশ পাশের লোকজন মুরগীর ফার্মের গন্ধে অতীষ্ট হলে তিনি বিকল্প ব্যবসার কথা ভাবতে থাকেন।

এর পরে খোকন কাজী প্লাজার পাশে সোবহান চেয়ারম্যানের একটি টিনের দোকান ভাড়া নিয়ে শুরু করেন ইলেট্রিক ব্যবসা। ওই ইলেট্রিক পণ্যের ব্যবসা তাকে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সিঁড়ি দেখায়। ২০০৫ সালে ঢাকায় তার এক বড়ভাইকে নিয়ে যান ওয়ালটন কোম্পানীর বিক্রয় বিভাগে। সেখানে তিনি নেন ওয়ালটনের ডিলার। এর পরে ওয়ালটনের সকল পণ্য বিক্রি বেড়ে যায়। খোকন মুকসুদপুর এবং এর আশপাশ এলাকায় আরও ১৪টি সাব ডিলার নিয়োগ দেন। তাদের ওয়ালটন পণ্য বিক্রিতে সারা দেশের সেরা ডিলার হিসেবে পুরস্কারও গ্রহণ করেন। ভ্রমণ করেন একাধিক দেশ। তিনি উপজেলায় ২টি বিক্রয় কেন্দ্র খুলে বসেন।

এই সাথে তার আরও ব্যবসা বাড়তে থাকে। ডিলারশীপ নেন সিংগার বাংলাদেশ, এবং টিভিএস মটর সাইকেলের। রবি এয়ারটেল কোম্পানীর সিম বিক্রি এবং রিচার্জ ব্যবসার এজেন্টও হন খোকন। ১০/১২ জন লোক মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে থাকেন।

শুরু করেন রড় সিমেন্টের ব্যবসা। করছেন ঠিকাদারিও। বিভিন্ন স্থানে তার কয়েকটি উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। মোট কথা একটি শূন্যস্থান থেকে নিজের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে তার ব্যবসা বাণিজ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সর্বত্র। এরই মধ্যে ২/৩ খ- জমিও কেনা হয়েছে। একটি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন।

কিভাবে তার জীবন পদে পদে হোচট এবং অসহযোগিতা, কিভাবে তার জীবন বিপর্যস্থ হয়েছে। তবে সহযোগিতাও পেয়েছেন বেশ কিছু লোকের কাছ থেকে অনেক সময় আপন মানুষও তার কাছ থেকে বাটে ফেলে ক্ষতি করেছেন। কিছু অনাত্মীয়ও তার কর্মকা-ে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন, কোম্পানীর এজেন্সী ও ডিলার নিতে হয়েছেন গ্যারান্টার। ব্যাংক ঋণেও করেছেন সহযোগিতা। দায়িত্ব নিয়েছেন, গ্যারান্টারও হয়েছেন।

মুকসুদপুর সংবাদের ২৫ বছরে একজন সফলতার গল্প তৈরীর প্রাক্কালে কথা হয় আসাদুজ্জামান খোকনের সাথে। তিনি জানান বর্তমানে কোন ব্যবসা ভাল নেই। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও, করোনা কালে সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও অনেক ক্ষতি হয়েছে। এসবের ধাক্কা কাটিয়ে উঠার আগেই নিত্যপণ্য মুল্য বৃদ্ধিতে সারা দেশের আমজনতা বিধস্ত। এর প্রভাব পড়ছে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।

এর পরেও একজন মানুষ সাধারণতঃ সততা এবং মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করলে এবং লক্ষ্য যদি অটুট থাকে তাহলে তাদের জীবনে সফলতা আসতে বাধ্য। পরিশ্রম অধ্যবসায় থাকলে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব, এর জ্বলন্ত এবং জীবন্ত প্রমাণ আসাদুজ্জামান।